বাজারে শপিংয়ের আনন্দের নেপথ্যে লুকিয়ে থাকতে পারে অজানা স্বাস্থ্যঝুঁকি—এমনই তথ্য দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। শপিংমলের বিলিং কাউন্টার থেকে যে রসিদ হাতে দেওয়া হয়, সেই থার্মাল পেপারেই থাকে বিপজ্জনক রাসায়নিক বিসফেনল এ (বিপিএ) ও বিসফেনল এস (বিপিএস), যা দ্রুত শরীরে মিশে যেতে পারে।
গবেষণা বলছে, মাত্র ১০ সেকেন্ড বিল হাতে রাখলেই বিপিএ ত্বক দিয়ে শোষিত হয়। আর হাতের লোশন বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করা থাকলে শোষণের হার বেড়ে যায় শতগুণ। এসব রাসায়নিক শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করে দেয়, যার ফলে নারীদের পিরিয়ড অনিয়মিত হওয়া, স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়া—এ ধরনের ভয়াবহ প্রভাব দেখা দিতে পারে।
ডিম্বাণুর গুণগত মান নষ্ট হওয়া থেকে শুরু করে গর্ভবতী নারীর ভ্রূণের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে বিপিএ/বিপিএস। এতে ভ্রূণের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, কম ওজনের শিশু জন্ম নেওয়া, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া বা স্নায়বিক জটিলতা তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, শপিংমলে গেলে রসিদের পরিবর্তে ডিজিটাল বিল নেওয়া নিরাপদ। আর যদি কাগজের বিল নিতেই হয়, তবে তা হাতে নেওয়ার পরপরই সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা উচিত। রসিদ নেওয়ার আগে স্যানিটাইজার ব্যবহার না করাই ভালো। বিল যত কম স্পর্শ করা যাবে, ঝুঁকিও তত কমবে।
