রোববার (৩০ নভেম্বর) আজিমউদ্দিন কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে তারা প্রধান শিক্ষকের কক্ষের একপাশে ভাঙচুর চালায়।
শিক্ষার্থীরা জানান, গত বুধবার কলেজ মাঠে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ক্লাস বাতিল করে জোর করে তাদের উপস্থিত থাকতে বাধ্য করে। ওই সভায় আজিমউদ্দিন কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রনি মিয়ার নেতৃত্বে রাজনৈতিক সমাবেশে অংশ নিতে চাপ প্রয়োগ করা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ, রনি মিয়ার বহিষ্কারসহ চার দফা দাবি তুলে ধরে জানায়—দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, সেদিন নারী শিক্ষার্থীরা শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলেও তাদের গেট দিয়ে বের হতে দেওয়া হয়নি। এতে কলেজ প্রশাসনের দায়িত্বহীন আচরণ স্পষ্ট হয়েছে। তারা ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন।
আজিমউদ্দিন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ অহিদুল ইসলাম বলেন, প্রতিদিন দুইটি ক্লাসের পর শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ি চলে যায়। সেদিন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যরাই মাঠে দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এম মঞ্জুরুল করিম রনি। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা সেদিন স্বতঃস্ফূর্তভাবেই মতবিনিময় সভায় অংশ নেয়। কেউ তাদের উস্কে দিয়ে পরিস্থিতি জটিল করার চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে তাদের পক্ষ থেকে আলোচনা চলছে বলে জানান তিনি।
