চীনের এক দম্পতির ঘরে জন্ম নেওয়া নবজাতক কন্যা শিশু জন্মের পরই সবার দৃষ্টি কাড়ে তার স্বর্ণকেশী চুল ও নীল চোখের জন্য। বিষয়টি নজরে আসার পর চিকিৎসকদের পরামর্শে ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার ফলাফলে নিশ্চিত হওয়া গেছে—শিশুটি পুরোপুরি তার বাবা-মায়ের জৈব সন্তান।
চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, শিশুটির অস্বাভাবিক মনে হওয়া শারীরিক বৈশিষ্ট্যের ব্যাখ্যা লুকিয়ে আছে তার পারিবারিক বংশপরম্পরায়। জানা যায়, শিশুটির প্রপিতামহ ছিলেন রাশিয়ান বংশোদ্ভূত, যার ছিল নীল চোখ ও স্বর্ণকেশী চুল। তার শরীরে থাকা রিসেসিভ জিন প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চাপা অবস্থায় সন্তানদের মাধ্যমে বহন হয়েছে। কিন্তু দম্পতি দুজনের শরীরে একই রিসেসিভ জিন থাকার কারণে তাদের সন্তানের ক্ষেত্রে জিনটি প্রকাশিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের ঘটনা বিরল হলেও জেনেটিক বিজ্ঞানে এটি স্বাভাবিক বিষয়। রিসেসিভ জিন অনেক সময় দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্য তৈরি না করলেও পরবর্তী প্রজন্মে একসাথে উপস্থিত হলে হঠাৎ প্রকাশ পেতে পারে। এ কারণেই পূর্বপুরুষের বাহিত বৈশিষ্ট্য বহু বছর পরেও কোনো নতুন প্রজন্মে দেখা যেতে পারে।
চীনের স্থানীয় গণমাধ্যমে ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শিশুটি সম্পূর্ণ সুস্থ এবং তার এই বৈশিষ্ট্য জেনেটিক্সেরই স্বাভাবিক প্রকাশ।
