বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা শরিফ ওসমান হাদীর ওপর হামলার বিষয়ে এক সমাবেশে বক্তব্য দিতে গিয়ে দুটি দাবি করেন, যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুয়া তথ্যের সঙ্গে মিল রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সমাবেশে রিজভী দাবি করেন, ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তি জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত। পাশাপাশি তিনি বলেন, হামলায় জড়িত ব্যক্তি ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমের সঙ্গে চা খাচ্ছেন। তবে এসব দাবির পক্ষে কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বা যাচাইযোগ্য সূত্র উপস্থাপন করা হয়নি।
এদিকে গতকাল রাত থেকে ফেসবুকে আরটিভির লোগো ব্যবহার করে একটি ভুয়া ফটোকার্ড ভাইরাল হয়, যেখানে শিরোনামে দাবি করা হয় যে ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণকারী জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত—এমন বক্তব্য নাকি ডিএমপি কমিশনার দিয়েছেন। বাস্তবে আরটিভি এমন কোনো খবর প্রকাশ করেনি।
অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আরেকটি ছবিতে ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফয়সাল করিম মাসুদের সঙ্গে একটি রেস্টুরেন্টে চা বা কফি খেতে দেখা যায়। তবে যাচাইয়ে জানা গেছে, ছবিটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি।
রিজভীর বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাদিক কায়েম তার ফেসবুক পেইজে একটি বিবৃতি দেন। সেখানে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের প্রোপাগান্ডা সেল থেকে ছড়ানো এআই জেনারেটেড ছবিকে সত্য ধরে নিয়ে বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী যে অপতথ্য ছড়িয়েছেন, তা একটি বড় রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল নেতার কাছ থেকে প্রত্যাশিত নয়।
তিনি আরও লেখেন, যারা ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ার কথা বলে জনগণের কাছে যাচ্ছেন, তারা যদি সংকটময় মুহূর্তে যাচাই ছাড়া আওয়ামী নির্ভর অপতথ্যকে সত্য হিসেবে গ্রহণ করেন, তবে দেশ পরিচালনায় তাদের সক্ষমতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হয়।
সাদিক কায়েম তার সঙ্গে শুটার একই টেবিলে চা খাচ্ছেন—এমন ভুয়া ছবি নির্ভর অভিযোগের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, দল হিসেবে বিএনপি এবং ব্যক্তি রিজভীকে অপতথ্য ছড়ানোর দায় থেকে নিজেকে দায়মুক্ত করতে হবে।
