মিসরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদুল আতি বলেছেন, অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় নতুন করে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কাজ করছে তার দেশ। রোববার মিসরীয় টিভি চ্যানেল অনটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানান তিনি।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বেশ কিছুসংখ্যক ইসরাইলি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৬০ দিনের জন্য যুদ্ধবিরতি ও প্রয়োজনীয় ওষুধসহ ত্রাণ সরবরাহের বিষয়ে কাজ করা হচ্ছে।’
মিসর, কাতার ও আমেরিকার যৌথ প্রচেষ্টায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির দিকে অগ্রসরের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে এ প্রস্তাব করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন বদর আবদুল আতি।
তিনি বলেন, পরবর্তী ধাপে স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার জন্য বৈরী ভাব স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। ফলে যুদ্ধবিরতির জন্য নির্ধারিত হওয়ার শর্ত সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।
মিসরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরাইলি আগ্রাসনের পুনরাবৃত্তি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় ধরনের হুমকি হতে পারে।’
এদিকে সোমবার ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরাইলকে চাপ দেবে আমেরিকা।
খবরে বলা হয়, সোমবার ইসরাইলি স্ট্র্যাটেজিক অ্যাফেয়ার্সমন্ত্রী রন ডেরমারের ওয়াশিংটন সফরের কথা রয়েছে। সেখানে যুদ্ধবিরতি চুক্তি করার জন্য তাকে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন সফররত ডেরমারের মাধ্যমে গাজায় আগ্রাসন বন্ধ ও বন্দি থাকা ইসরাইলি জিম্মিদের মুক্তির জন্য চুক্তিতে পৌঁছাতে তেল আবিবকে বার্তা দেওয়া হবে।