শিক্ষা উপদেষ্টা চৌধুরী রফিকুল ইসলাম (সি আর) আবরারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার ইসলামিকরণ ও কাঠামোগত সংস্কারের লক্ষ্যে চার দফা গুরুত্বপূর্ণ দাবি উত্থাপন করেন দলটির নেতারা।
প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন,
“বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল। অনৈতিক ও ইসলামবিরোধী শিক্ষানীতি যুব সমাজ ও জাতির ভবিষ্যতকে হুমকির মুখে ফেলেছিল।”
জামায়াতের পক্ষ থেকে উপস্থাপিত মূল দাবিগুলোর মধ্যে ছিল:
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষকদের জাতীয়করণ:
শিক্ষা জাতি গঠনের মেরুদণ্ড এবং শিক্ষকেরাই এই ভিত্তির প্রধান শক্তি। তাই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিক্ষককে জাতীয়করণ করা প্রয়োজন।
নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তকরণ:
রাজনৈতিক বৈষম্যের কারণে বিগত ১৭ বছরে যারা এমপিও থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ভাতা প্রদান:
অবসরে যাওয়া শিক্ষকদের বকেয়া ভাতা দ্রুত প্রদান ও যথাযথ পেনশন সুবিধা চালু করার দাবি জানানো হয়।
স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষক এমপিওভুক্তি:
দেশের স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসাগুলোর শিক্ষকরা দীর্ঘদিন অবহেলিত। তাদের এমপিওভুক্ত করার দাবি তোলা হয় বৈঠকে।
বৈঠকে শিক্ষা উপদেষ্টা গুরুত্বসহকারে জামায়াতের দাবিগুলো শোনেন এবং সেগুলো পর্যালোচনার আশ্বাস দেন বলে জানানো হয়েছে।