খুলনার এসওএস শিশু পল্লীতে শেখ জাদী ইসরাত জাহান (১৬) নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে পরিবারের দাবি, ইসরাত আত্মহত্যা করেনি, তাকে হত্যা করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে ইসরাত। পরে প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা ঘটনাস্থলে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছাত্রীর মামা সোনাডাঙ্গা আল আমিন গলির বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম গতকাল বুধবার বলেন, আমার ভাগনির মা নেই। মাত্র ১৬ মাস বয়সে ওকে এসওএস শিশু পল্লীতে দেওয়া হয়। আমার ভাগনি অনেক হাসিখুশি ও মেধাবী ছিল। ও আত্মহত্যা করতে পারে না। আর যদি করে থাকে তাহলে ঝুলন্ত অবস্থায় আমাদের ডাকল না কেন। পুলিশ বা আমাদের কাউকে না জানিয়ে কেন ঝুলন্ত লাশ নামাল।
খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হোসাইন মাসুম বলেন, শিশু পল্লীতে ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। লাশের ময়না তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
এসওএস শিশু পল্লীর প্রধান বিশ্বজিৎ কুমার মন্ডলের সঙ্গে ইসরাতের মৃত্যুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।