ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনকে ঘিরে এবার ভিন্ন ধরনের আলোচনার জন্ম দিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটি তাদের সম্ভাব্য প্যানেলে তিনজনকে সামনে এনেছে— ভিপি পদে সাদিক কায়েম, জিএস পদে এসএম ফরহাদ এবং এজিএস পদে মহিউদ্দিন খান।
শিবিরের ভেতরে ও বাইরে অনেকের মতে, নেতৃত্ব সৃষ্টি ও প্রজন্ম গড়াই সংগঠনটির অন্যতম বৈশিষ্ট। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নির্বাচনে যে তিনজনকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই মেধা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের গুণে ভিপি পদে যোগ্য বলেই বিবেচিত।
শিবিরের শক্ত অবস্থান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে বামপন্থি ছাত্র সংগঠন ও বিএনপি-ঘনিষ্ঠ ছাত্রদলের প্রভাব থাকলেও এবারের নির্বাচনে শিবিরের শক্ত উপস্থিতি এবং সুসংগঠিত প্রস্তুতি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। শিবিরের ভেতরে আত্মবিশ্বাস— এবার তারা বাম ও ছাত্রদলের আধিপত্য ভেঙে দিতে সক্ষম হবে।
নেতৃত্বের প্রোফাইল
সাদিক কায়েম: শিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংগঠনিক নেতৃত্বে তার দক্ষতা ইতোমধ্যেই স্বীকৃত।
এসএম ফরহাদ: দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা রয়েছে। মাঠপর্যায়ে ছাত্রদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ও নেতৃত্ব প্রদানে তিনি বেশ দক্ষ।
মহিউদ্দিন খান: তরুণ হলেও নেতৃত্বে দৃঢ়, এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের আস্থা অর্জনে সক্ষম বলে মনে করছেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নতুন সমীকরণ
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং শক্তিশালী প্যানেল উপস্থাপন ঢাবির রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করবে। এতে ঐতিহ্যগত প্রতিদ্বন্দ্বিতা বামপন্থি জোট এবং ছাত্রদলের সঙ্গে আরও জটিল আকার ধারণ করতে পারে।
শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশ ও আগামী দিনের নেতৃত্ব গঠনে এ নির্বাচনের গুরুত্ব অত্যন্ত বেশি। শিবিরের নেতাকর্মীরা বলছেন, তারা একটি শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চান এবং শিক্ষার্থীদের ভোটে গণতান্ত্রিক নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার সুযোগ করে দিতে চান।