উলামা-জনতা ঐক্য ফোরাম আয়োজিত এক সেমিনারে বক্তারা বলেছেন, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে দেশের আলেম-ওলামারা চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারা কোথাও স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারতেন না, কোরআন-হাদিসের আলোচনা করতেও ভয়ের মধ্যে থাকতে হতো। তবে ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সে স্বৈরাচারী শাসনের অবসান ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলের ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিইবি) কাউন্সিল হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি হারুন ইজহারের সভাপতিত্বে আয়োজিত ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী চ্যালেঞ্জ ও উলামা-জনতার সম্মিলিত আকাঙ্ক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন হেফাজতের নায়েবে আমির ও মধুপুরের পীর মাওলানা আব্দুল হামিদ।
বক্তারা বলেন, ভবিষ্যতে যাতে আর কোনো জালেম শাসক ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেজন্য আলেম-ওলামা ও সাধারণ জনগণকে সচেতন হতে হবে। জালেমের দিন শেষ, এখন আলেমদের বাংলাদেশ। বিদেশি দালালদের আর কখনোই ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না। পাশাপাশি ওলামায়ে কেরামকে বাদ দিয়ে যেন কোনো সরকার গঠিত না হয়, সে বিষয়ে শক্ত অবস্থান নিতে হবে।
তারা আরও বলেন, আগামী নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তী সরকারকে আন্তরিক হতে হবে।
সেমিনারে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট আলেম মুফতি কাজি মোহাম্মদ ইবরাহীম, মুফতি মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন রহমানী, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল (অব.) আবুল কালাম হুমায়ুন কবির, রাওয়া ক্লাবের চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আব্দুল হক, কর্নেল (অব.) শামসুজ্জামান, হেফাজত নেতা মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মীর ইদ্রিস, মুফতি ফখরুল ইসলাম, প্রকাশক আবু তাসমিয়া আহমেদ রফিক, বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, অধ্যাপক ড. সারোয়ার হোসাইন, সাবেক শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎস, কবি মাহমুদুল হাসান নিজামী, সাংবাদিক মেহেদী হাসান পলাশ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু সুফিয়ান, মাওলানা রুহুল আমিন সাদী, অধ্যাপক মাওলানা মাহমুদুল হাসান রায়হান, লেফটেন্যান্ট আবরার ইনতেশার ইনজিমাম, মাওলানা হেলাল উদ্দিন, ছাত্রনেতা আয়মান কায়সার প্রমুখ।