বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত বামপন্থী সাংবাদিক বিভূরঞ্জন সরকারের আত্মহত্যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন ও সাংবাদিক সমাজে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। তার মৃত্যুকে ঘিরে উঠে এসেছে বহু গোপন তথ্য, যা বিশেষ করে বামপন্থী রাজনৈতিক শক্তির ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে।
বিভূরঞ্জনের খোলা চিঠি থেকে জানা যায়, তিনি ছাত্র ইউনিয়নের সক্রিয় কর্মী হলেও সারাজীবন নিজের বামপন্থী পরিচয় গোপন করে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে লেখালেখি করেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তিনি জঙ্গিবাদের গল্প সাজিয়ে ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং ফ্যাসিবাদী শাসনকে পরোক্ষভাবে বৈধতা দিয়েছেন।
চিঠিতে আরও উঠে এসেছে যে, জুলাই বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তিনি পুলিশের হত্যাকাণ্ড নিয়ে গল্প বানানোর চেষ্টা করেছিলেন। অনির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে সুবিধা না পাওয়ায় হতাশ হয়ে শেষমেষ তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিভূরঞ্জনের মৃত্যু বাংলাদেশের বাম রাজনীতিতে আঘাত হেনেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকে মন্তব্য করছেন যে, তার মৃত্যু গণমাধ্যমে ঘাপটি মেরে থাকা গোপন বামপন্থী প্রভাবকে স্পষ্ট করে তুলেছে।
ইতিহাসবিদদের মতে, বাংলাদেশের বামপন্থী সাংবাদিকদের গোপন এজেন্ডা নতুন নয়। তারা দাবি করেন, স্বাধীনতার পর থেকেই অনেক বামপন্থী সাংবাদিক তাদের প্রকৃত রাজনৈতিক পরিচয় আড়াল করে ইসলামপন্থীদের বিরুদ্ধে কাজ করেছেন।
বিভূরঞ্জনের মৃত্যু সেই ইতিহাসের আরেকটি অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে, যেখানে আদর্শের সঙ্গে আপস করে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে হতাশা ও গ্লানিতে ডুবে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন এক প্রভাবশালী সাংবাদিক।