জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ অভিযোগ করেছেন, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা কার্যত বিএনপির ‘আওয়ামী-বিষয়ক সম্পাদক’ হিসেবে ভূমিকা পালন করছেন। রোববার সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ শুনানিতে সংঘর্ষে এনসিপি নেতা আতাউল্লাহ আহত হওয়ার ঘটনায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত সাংবাদিকদের বলেন,
“বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো সাজানো নির্বাচনের দিকে যেতে চায় না। বিএনপির মধ্যে এমন অনেকে আছেন, যারা আওয়ামী লীগের চেয়েও বেশি আওয়ামী লীগ। রুমিন ফারহানা তাঁদের একজন। যারা আওয়ামী লীগের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেন, ফ্ল্যাট পান, আবার গুন্ডা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেন—আমরা তাঁদের বিএনপির আওয়ামী-বিষয়ক সম্পাদক বলব। জনগণের মনোভাব বুঝতে হবে তাঁদের।”
তিনি আরও জানান, “আমরা ধরে নেব, তাঁদের কর্মকাণ্ড বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশেই হচ্ছে। আজ নির্বাচন কমিশনে যা ঘটেছে, সে বিষয়ে বিএনপি কী অবস্থান নেয়, আমরা তা দেখব।”
এর আগে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন সীমানা নিয়ে ইসিতে শুনানির প্রথম দিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩ আসনের শুনানিতে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে এনসিপি নেতা আতাউল্লাহ আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক আতাউল্লাহ বলেন, শুনানিতে যোগ দিতে গেলে তাঁকে একাধিকবার বাধা দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন,
“আমাকে বারবার টেনে-হিঁচড়ে বাইরে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পরে ভেতরে প্রবেশ করলে দেখি, রুমিন ফারহানাসহ বিএনপির লোকজন সেখানে উপস্থিত। আমার বক্তব্যের সময় এলে রুমিন ফারহানা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন, কথা বলতে দেননি এবং তাঁর সমর্থকরা আমাকে মাটিতে ফেলে নির্মমভাবে মারধর করে। পরিকল্পিতভাবে আমাদের যুক্তি উপস্থাপন বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে।”
তিনি ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে বলেন, বিচার না হলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পদত্যাগ করতে হবে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।