ইউক্রেন যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির ভবিষ্যৎ নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আমেরিকা ও রাশিয়া উভয়ই জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে সমাধানের পথে এগোতে চায়, যদিও তাদের উদ্দেশ্য ভিন্ন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে একটি রুশপন্থী সরকার দেখতে চান, যা মস্কোর স্বার্থ রক্ষা করবে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য পুতিনকে ছাড় দিয়ে হলেও একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে আগ্রহী।
তবে ইউরোপ বিশেষত ব্রিটেন জেলেনস্কির স্থায়িত্ব চায় যতদিন সম্ভব। যুক্তরাজ্যের রাজনৈতিক প্রভাব এখনো ইউরোপের নেতৃত্বে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথভাবে ইউক্রেনের সাবেক সেনাপ্রধান ও বর্তমান লন্ডনে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভালেরি জালুজনিকে জেলেনস্কির উত্তরসূরি হিসেবে দেখতে চাইছে।
বিশ্লেষকদের মতে, জালুজনির নিয়োগ হলে তিনি পশ্চিমা স্বার্থ রক্ষা করতে পারবেন এবং রাশিয়ার জন্যও তুলনামূলক গ্রহণযোগ্য হতে পারেন। এখন প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে—পুতিন কি এই সমাধান মেনে নেবেন, নাকি নতুন কৌশল নিয়ে আসবেন?
পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠছে, এবং আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধের রাজনৈতিক সমীকরণে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।