এবার বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়ার ঘটনায় দলটির ভেতরে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এবার তার পক্ষে সরব হয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি। পাশাপাশি তিনি বিএনপির কৌশলের সমালোচনা করেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে রনি বলেন, ফজলুর রহমানকে শোকজ নয়, বরং সম্মান জানিয়ে বিষয়টি সমাধান করা উচিত ছিল। তিনি লিখেন, “মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান তার বিরুদ্ধে ইস্যু করা শোকজের জবাব দিয়েছেন—যা নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে এবং বিএনপির জন্য উভয়-সংকট ও চরম-সংকট এবং শাঁখের করাতের মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে পুলিশ হত্যা এবং স্নাইপার রাইফেল দিয়ে ছাত্র-জনতা হত্যার বিষয়টি তিনি কৌশলে যাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তা যদি বিএনপি বুঝতে না পারে তবে তাদের কপালে দুর্ভোগ আছে!”
তিনি আরো বলেন, “মাস্টারমাইন্ড এবং ম্যাটিকুলাস ডিজাইনের দায় ফজলুর রহমান পয়েন্ট আউট করে রাষ্ট্রের হাতে যে দলিল তুলে দিলেন তা যদি বিএনপি সামলাতে না পারে তবে কিয়ামত পর্যন্ত কান্না করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না! ফজলুর রহমান ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এবং জুলাই বিপ্লবের নেপথ্যের কালো শক্তি হিসেবে যা বলার চেষ্টা করেছেন তা ইতিমধ্যে সারা দেশে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।”
স্ট্যাটাসে বিএনপির কৌশল নিয়েও কঠোর সমালোচনা করেন রনি। তিনি বলেন, বিএনপি ভয়কে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করছে, লড়াই না করে সমঝোতার পথ খুঁজছে। “শেখ হাসিনার ভয়ে পালিয়ে থাকা, রাজনৈতিকভাবে অদক্ষ কিছু মানুষ বিএনপি নেতাদের নিয়েই ভিডিও বানিয়ে অপমান করছেন। আর সেই ভিডিও দেখে বিএনপি হাইকমান্ড ভয় পেয়ে নেতাদের শোকজ করছেন। এতে দলের ক্ষতি ছাড়া কিছু হচ্ছে না।”—অভিযোগ করেন তিনি।
রনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, এ ধারায় চলতে থাকলে বিএনপি থেকে জাতীয় পার্টির মতো আরেকটি বিভক্ত দল গড়ে উঠতে পারে। অবশেষে তিনি বলেন, আমি মনে করি ফজলুর রহমানকে দেওয়া শোকজ প্রত্যাহার করা উচিত। বরং তদন্ত কমিটি গঠন করে তার বক্তব্যের প্রেক্ষাপট বোঝার চেষ্টা করা উচিত। তিনি যদি দলে উপযুক্ত না হন, তাহলে সম্মানের সঙ্গে তাকে অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে। অপমান নয়।