বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্তরাষ্ট্রের ডানপন্থী রাজনৈতিক কর্মী চার্লি কার্কের বিষয়ে স্টেটমেন্ট দেওয়ায় নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন। সমালোচকরা বলছেন, তারেক রহমান হয়তো বুঝতে পারছেন না— এটি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের অন্যতম বড় blunder হয়ে গেছে।
প্রশ্ন উঠেছে, আমেরিকায় প্রায় প্রতিনিয়ত ঘটে যাওয়া ম্যাস-শুটিং ইস্যুতে কখনো স্পষ্ট বক্তব্য দেননি তিনি, অথচ ফিলিস্তিনের গণহত্যার পক্ষের তীব্র সমর্থক হিসেবে পরিচিত চার্লি কার্ককে নিয়ে কেন এমন স্বতঃপ্রণোদিত মন্তব্য করতে হলো? বিশ্লেষকরা মনে করছেন, চার্লি কার্ক বিএনপির লবিয়িস্ট হিসেবে কাজ করছেন বলেই এমনটি হয়েছে। কারণ, তাঁকে বিএনপি নেতা আমীর খসরুর সাথে একই ফ্রেমে দেখা গেছে।
কিন্তু চার্লি কার্ক কে? তিনি মার্কিন ডানপন্থী রাজনীতির অন্যতম মুখপাত্র, যিনি ফিলিস্তিনের গণহত্যাকে শুধু অস্বীকারই করেননি, বরং প্রকাশ্যে সেই হত্যাযজ্ঞের পক্ষে মতামত তৈরি করেছেন। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ব্যক্তিগতভাবে তাঁর প্রশংসা করেছেন। ফলে, ফিলিস্তিনের রক্তাক্ত গণহত্যার পক্ষে অবস্থান নেওয়া এমন এক ব্যক্তির সাথে বিএনপির সম্পর্ক বাংলাদেশের সফিস্টিকেটেড মোরাল এক্টিভিস্টদের চোখে মারাত্মক কলঙ্ক হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সমালোচকরা বলছেন, এতে প্রমাণ হয় বিএনপির কোনো নৈতিক অবস্থান নেই। কেবল রাজনৈতিক স্বার্থের জন্য ফিলিস্তিনি গণহত্যার পৃষ্ঠপোষকের সাথে সম্পর্ক রাখতে তাদের আপত্তি নেই। অথচ যারা ন্যায় ও সত্যের পক্ষে দাঁড়াতে চান, তাদের কাছে এই দ্বিচারিতার কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
শেষ প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে— বিএনপির এই শীর্ষ নেতা তারেক রহমান এত কিছুর পরও ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রকাশ্যে কোনো অবস্থান নিয়েছেন কি?