ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে সহ-সভাপতি (ভিপি) হয়েছেন সাদিক কায়েম এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) হয়েছেন এস এম ফরহাদ। প্রশাসনিক ও নীতিনির্ধারণী কাঠামোয় সরাসরি সম্পৃক্ততার কারণে এ দুটি পদ শুধু সম্মানজনকই নয়, দায়িত্ব ও প্রভাবের দিক থেকেও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
নির্বাচিত ভিপি ও জিএস কোনো মাসিক বেতন বা স্থায়ী সম্মানী পান না। তবে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী সংস্থা সিনেটের সদস্য হিসেবে যুক্ত থাকেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে বক্তব্য রাখা, দাবিদাওয়া উত্থাপন এবং স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার সুযোগ থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়াতেও তাদের সক্রিয় ভূমিকা থাকে।
এছাড়া নবনির্বাচিত ভিপি ও জিএসের জন্য ডাকসুতে আলাদা রুম বরাদ্দ থাকে। সমাবর্তনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় কর্মসূচি এবং জরুরি বৈঠকগুলোতেও তারা প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন।
অর্থনৈতিক সুবিধার দিক থেকে ভিপি-জিএস আলাদা ভাতা না পেলেও, সিনেটের বৈঠকে অংশ নিলে সম্মানী পান। পাশাপাশি এক বছরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এককালীন অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়—ভিপির জন্য ৫ লাখ টাকা এবং জিএসের জন্যও ৫ লাখ টাকা। এই অর্থ মূলত চা-নাস্তা, সাংগঠনিক কার্যক্রম ও প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের সহায়তায় ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’-এর প্রার্থী হিসেবে সাদিক ও ফরহাদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন