ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের পর নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার সকালে উপাচার্যের কার্যালয়ের পাশের লাউঞ্জে বৈঠকের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়— ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস এস এম ফরহাদ ও এজিএস মুহা. মহিউদ্দীন খান স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিনেট সদস্য হবেন। পাশাপাশি সিনেট সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন সর্বাধিক ভোট পাওয়া সাবিকুন্নাহার তামান্না এবং পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ। শিগগিরই এ বিষয়ে গেজেট প্রকাশ করা হবে।
পরে আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সংবাদ সম্মেলনে নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন। জিএস এস এম ফরহাদ বলেন, “আজ আমাদের প্রথম কার্যদিবস। মতপার্থক্য থাকলেও আমরা সবাই মিলে শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করব। তাদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হবে আমাদের প্রধান দায়িত্ব।” তিনি আরও জানান, সিনেট সদস্যপদে বাকি দুই জনকে যথাক্রমে সেক্রেটারিয়েট বডি ও সাধারণ সদস্যদের মধ্য থেকে বাছাইয়ের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে।
ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, “আমরা ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি। যেকোনো সমস্যা নিয়ে তারা আমাদের কাছে আসতে পারবেন। সব সমস্যার সমাধানে আমরা প্রস্তুত। শিগগিরই বিস্তারিত কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে।”
উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সভায় নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়। উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, এজিএস মুহা. মহিউদ্দীন খানসহ ২৭ জন প্রতিনিধি। অনুপস্থিত ছিলেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ।
গত ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গঠিত হয় ৩৮তম ডাকসু। ১৯২৩ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৩৮ বার ডাকসু নির্বাচন হলেও নিয়মিত ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। সর্বশেষ ৩৭তম নির্বাচন হয়েছিল ২০১৯ সালের ১১ মার্চ। এবারের নির্বাচনে ২৮টি পদের মধ্যে শীর্ষ তিন পদসহ ২৩টিতে জয়ী হয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির-সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট। বাকি পাঁচ পদে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।