আদালতে শুনানি চলাকালে সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর জন্য স্যান্ডউইচ ও ড্রাই ফুড আনেন তার আইনজীবী মহসিন রেজা। তাকে সেই খাবার দেয়ার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চান এই আইনজীবী। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী এর বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আসামিকে খাবার দেয়ার বিষয়টি নাকচ করেন আদালত।
জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যাত্রাবাড়ীতে মো. রিয়াজ (৩৫) নামে এক শ্রমিক নিহতের মামলায় বুধবার সকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে আমির হোসেন আমুর আইনজীবী মহসিন রেজা বলেন, ‘আসামিকে এক ঘণ্টা পর পর খাবার খেতে হয়। এজন্য তার পছন্দের খাবার স্যান্ডউইচ ও ড্রাই ফুড আদালতে আনা হয়। কিন্তু আদালত তাকে এই খাবার দেয়ার অনুমতি দেননি। আসামি একজন বয়স্ক ব্যক্তি, নানান অসুখে জর্জরিত। এজন্য তাকে প্রতিনিয়ত সময় করে খাবার খেতে হয়।’
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী সমকালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এ মামলার অপর আসামিরা হলেন— সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন, হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, আব্দুর রাজ্জাক এবং যাত্রাবাড়ী-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম মনু।
এর আগে আজ বুধবার সকালে কারাগার থেকে আমুসহ ৭ জনকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর তাদের সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ৯ টা ৫০ মিনিটের দিকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসে ওঠানো হয়। এসময় তাদের হাতে হাতকড়া, মাথায় হেলমেট, বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল। এদিন শুনানি শেষে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আদালতে থেকে আসামিদের কঠোর নিরাপত্তা মধ্যে দিয়ে হাজতখানায় নেয়া হয়।
রিয়াজ হত্যা মামলার অভিযোগে বলা হয়, জুলাই আন্দোলনের শেষ দিন ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন রিয়াজ। ওই ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।