রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মহব্বত হোসেনকে মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি করা হয়েছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার গত ৭ সেপ্টেম্বর এ–সংক্রান্ত চিঠিতে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে সভাপতি ছিলেন জেলা যুবদলের সদস্যসচিব রেজাউল করিম টুটুল। অভিযোগ রয়েছে, টুটুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় তাঁর অনুসারী মহব্বতকে সভাপতি করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং স্থানীয় বিএনপি–ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, রেজাউল করিম দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করায় তাঁর পরিবর্তে মহব্বত হোসেনকে সভাপতি মনোনয়ন দেওয়া হলো।
তবে বিতর্ক রয়েছে মহব্বত হোসেনকে ঘিরে। অভিযোগ আছে, তিনি এক মাছচাষির পুকুর থেকে জোরপূর্বক মাছ লুট করেছিলেন। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের কাছে লিখিত অভিযোগ গেলে গত বছরের অক্টোবরে তাঁকে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক পদসহ প্রাথমিক সদস্যপদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় সুলতান মাহমুদ নামে সাবেক অতিরিক্ত সচিবকে সভাপতি করে কলেজ পরিচালনা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটি গঠন করেছিল। কিন্তু অল্পদিনের ব্যবধানে তাঁকে সরিয়ে প্রথমে যুবদল নেতা টুটুল, পরে ছাত্রদল নেতা মহব্বতকে সভাপতি করা হয়।
অভিযোগকারীরা বলছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছাড়া কলেজ কমিটির সভাপতি হওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের সরিয়ে বিতর্কিত নেতাদের পদে বসানো হচ্ছে।
সাবেক সভাপতি সুলতান মাহমুদ বলেন, “আমি উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কোনো কারণ ছাড়াই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যোগ্য মানুষেরা এখন একপ্রকার একা।”
এ বিষয়ে জানতে নতুন সভাপতি মহব্বত হোসেন ও সাবেক সভাপতি টুটুলের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।