দীর্ঘ ৩৩ বছরের প্রতীক্ষার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু)-এর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে পবিত্র কোরআনের তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হয়।
উপাচার্য ও জাকসু সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান শপথবাক্য পাঠ করান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক রাশিদুল আলম জানান, জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বলেন, “কিছু সীমাবদ্ধতা থাকলেও আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করেছি।”
উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক সোহেল আহমেদ নির্বাচনের সুষ্ঠুতাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, “গণতন্ত্রের জন্য আমরা দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতন্ত্র চর্চার একটি ধারাবাহিকতা তৈরি হয়েছে। আমি আশাবাদী, তোমরা তোমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে।”
নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “এই বিজয় আমাদের চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের প্রাপ্য। যারা তাদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছে। জাকসু নির্বাচনে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অবদান অমূল্য।”
নবনির্বাচিত সহসভাপতি আবদুর রশিদ জিতু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, “তারা সব ধরনের চাপ মোকাবিলা করে নির্বাচনের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করেছেন। আসুন, সবাই মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করি।”
উপাচার্য ও জাকসু সভাপতি অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্র হারিয়ে গিয়েছিল। তবে এটি পুনরুদ্ধার শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে—জাকসু ও ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে। আমরা সকল অংশীজনকে ধন্যবাদ জানাই, যারা এই নির্বাচনের বাস্তবায়নে সহায়তা করেছেন।”