বাংলাদেশে একটি কালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি তুলেছেন কবি, প্রাবন্ধিক ও দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক আবদুল হাই শিকদার। তিনি বলেছেন, স্বাধীনতার প্রায় ৫৫ বছর পরও দেশে কোনো সাংস্কৃতিক নীতিমালা হয়নি, যা দেশের সংস্কৃতিকে নড়বড়ে করে দিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টস (বাফা) গুলশান-বাড্ডা লিংক রোড শাখার নবীনবরণ ও বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বাফার পক্ষ থেকে আবদুল হাই শিকদারকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, “ভারতের শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে কালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে দিয়েছেন, তা আত্মার ভিৎ তৈরি করছে। কিন্তু বাংলাদেশে আজও একটি কালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় নেই। ত্রিশালে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়কে যখন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল, তখন সেটিকে কালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম, কিন্তু কর্তৃপক্ষ শুনেনি।”
আবদুল হাই শিকদার অভিযোগ করেন, “বাংলাদেশ কালচারে ইন্ডিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে সবচেয়ে বেশি পরাজিত হয়েছে। এখনো আমাদের সংস্কৃতি ভারতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদি একটি কালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় হতো, তবে আজকের পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত।”
তিনি বলেন, “আমাদের তরুণ সমাজকে সুস্থধারার সংস্কৃতিতে ফিরিয়ে আনতে হলে একটি শক্তিশালী কালচারাল বিশ্ববিদ্যালয় গড়া অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু দুঃখজনকভাবে বাংলাদেশে এখনো কোনো সাংস্কৃতিক নীতিমালা হয়নি।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নজরুল সংগীতশিল্পী ফাতেমা তুজ জোহরা, অগ্রণী ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক আবু হাসান তালুকদার, ডেইলি ঢাকা প্রেসের সম্পাদক খান মোহাম্মদ সালেক, বাচসাস সভাপতি কামরুল হাসান দর্পণ এবং বেইজক্যাম্প গ্রামার স্কুলের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান তালুকদার। সভাপতিত্ব করেন বাফার গুলশান-বাড্ডা শাখার শাখাপ্রধান নাসির আহমেদ।
অনুষ্ঠানে গান, নাচ, আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বিজয়ীদের মধ্যে ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।