আজ দীর্ঘদিন পর সাম্প্রতিক প্রেক্ষাপটে কওমি অঙ্গনের কার্যকলাপ পর্যালোচনা করে অনেকের মধ্যে হতাশার সুর শোনা যাচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, কওমি অঙ্গন ইতোমধ্যেই ভারতের প্রভাববলয়ে চলে গেছে। কারণ, এদের বক্তব্যে শারঈ যুক্তি নেই, নেই দূরদর্শী পরিকল্পনা বা গঠনমূলক সমালোচনা। বরং প্রবীণদের মনগড়া ধারণাই বেশি প্রাধান্য পাচ্ছে।
সমালোচকরা মনে করছেন, দেওবন্দী ধারার মূল বিশ্বাস হলো—আলেমরা ক্ষমতার আসনে বসবেন না, বরং বিদ্যমান মুসলিম (নামধারী হলেও) বা অমুসলিম শাসকদের ইসলাহ করার চেষ্টা করবেন। এই কারণেই মোদী সরকারও কওমি ধারাকে কোনো হুমকি হিসেবে দেখে না, বরং তাদের নিষ্ক্রিয়তা কাজে লাগাচ্ছে।
ইতিহাস ঘেঁটে সমালোচকরা আরও মনে করিয়ে দিচ্ছেন—
⭕ভারতবর্ষে মুসলিমদের মধ্যে উসমানীয় প্রভাব দূর করার দাবি প্রথম তুলেছিলো দেওবন্দীরা।
⭕হাজী মুহাম্মদ শরীয়াতুল্লাহর সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ডকে তারা বিদআত আখ্যা দিয়েছিল।
⭕শহীদ মীর নিসার আলী তিতুমীরকে তরুণ প্রজন্মের কাছে উগ্রবাদী হিসেবে তুলে ধরেছিল।
সমালোচকরা বলেন, কওমি সমাজ দেওবন্দকে একপ্রকার দেবতার আসনে বসিয়েছে, তাই তারা কখনোই উম্মাহর ঐক্যের দিকে এগোবে না।
এই সমালোচনায় স্পষ্ট হয়েছে, কওমি অঙ্গন নিজেদের অবস্থান ও কৌশল নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়েছে।