নেপালের পর এবার ফিলিপাইনও দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানী ম্যানিলার রাস্তায় নেমে আসে হাজার হাজার মানুষ। মূল অভিযোগ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে কোটি কোটি ডলারের অবৈধ খরচ ও দুর্নীতি।
সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ ও সেনারা সতর্ক অবস্থানে থাকলেও পরিস্থিতি দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিভিন্ন এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। অন্তত ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, বিক্ষোভকারীরা পাথর নিক্ষেপ ও ব্যারিকেডে অগ্নিসংযোগ করেছে। পাল্টা হিসেবে পুলিশ পানির কামান ব্যবহার করে। এমনকি কিছু পুলিশকেও বিক্ষোভকারীদের দিকে পাথর ছুড়তে দেখা গেছে।
ম্যানিলার মেয়র ফ্রান্সিসকো ইস্কো মোরেনো ডোমাগোসো জানান, আহত পুলিশ সদস্যদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তিনি সবাইকে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আহ্বান জানান।
প্রায় ৫০ হাজার মানুষ লুনেটা পার্কে সমবেত হয়ে “আর নয়, যথেষ্ট হয়েছে, জেলে পাঠাও” লেখা ব্যানার নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান। ছাত্ররা দুর্নীতিবাজদের বিচারের দাবি তোলে।
প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ইতোমধ্যে ৯,৮৫৫টি বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে অনিয়ম তদন্তে একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করেছেন। তবে ধনী ব্যবসায়ী দম্পতি সারা ও প্যাসিফিকো ডিসকায়ার কোম্পানি একই প্রকল্পে চুক্তি পাওয়ায় ক্ষোভ আরও বেড়েছে।
আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে খ্রিস্টান চার্চের বিভিন্ন সম্প্রদায়। ২১ সেপ্টেম্বরের এই বিক্ষোভ দিনটিও প্রতীকী—যেদিন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মার্কোস সিনিয়র আইনশৃঙ্খলা ঘোষণা করেছিলেন এবং যে সড়কে দুটি পিপল পাওয়ার বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল।
২৩ বছর বয়সী নার্সিং ছাত্রী অ্যালি ভিলাহার্মোসা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “ঘোস্ট প্রকল্পের জন্য বাজেট আছে, অথচ স্বাস্থ্য খাতের জন্য নেই—এটা সত্যিই লজ্জাজনক।”