ফরিদপুরে মাহিন্দ্র স্ট্যান্ডে চাঁদাবাজি, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া জেলা যুবদলের সহসভাপতি মাসুদুর রহমান ওরফে লিমনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় যুবদলের কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলীয় নীতি ও আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মাসুদুর রহমানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম (মুন্না) ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম (নয়ন) ইতোমধ্যে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের কোনো অপকর্মের দায় দায়িত্ব সংগঠন নেবে না। একই সঙ্গে যুবদলের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের তাঁদের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ভাঙ্গা রাস্তার মোড়ে মাহিন্দ্র স্ট্যান্ডে হামলার ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাসুদুর রহমানের অনুসারী শাহীন হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল যুবক শ্রমিকদের ওপর হামলা চালান। এতে অন্তত ১৬টি মাহিন্দ্র ভাঙচুর এবং ১০ জন শ্রমিক আহত হন। এর মধ্যে চারজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বুধবার সকালে মাহিন্দ্র মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাসুদুর রহমানসহ সাতজনকে আসামি করা হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারনামীয় আসামি মাসুদুর রহমান ও আনন্দ শুভ্র রায়কে গ্রেপ্তার করে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, কয়েক মাস ধরে শাহীন হাওলাদার ও তাঁর সহযোগীরা মাহিন্দ্র স্ট্যান্ড দখলের চেষ্টা চালাচ্ছিলেন এবং প্রতিটি মাহিন্দ্র থেকে ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছিলেন। শ্রমিকেরা চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হামলার ঘটনা ঘটে।
বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা যুবদলের সভাপতি মো. রাজিব হোসেন বলেন, মাসুদুর রহমান দলীয় নীতিবিরুদ্ধ কাজে জড়িত ছিলেন বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এজন্য কেন্দ্রীয় যুবদল তাঁকে বহিষ্কার করেছে।