প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে হলে আইন পরিবর্তন করতে হবে। তবে বর্তমান গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) পিআর পদ্ধতি নেই। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংবিধান ও আরপিও অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি তাঁর সাম্প্রতিক কানাডা সফর এবং প্রবাসী ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র কার্যক্রমের অগ্রগতি সম্পর্কেও বিস্তারিত জানান।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে বিভিন্ন দলের আন্দোলনের বিষয়ে সিইসি বলেন, “আন্দোলন চলছে, ফয়সালা আসুক। ভোটের তপশিল হবে দুই মাস আগে, এবং রোজার আগে নির্বাচন হবে। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে—এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, এবারের নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হবে এবং কেউ “ফাউল” করতে নামবে না।
শাপলা প্রতীক নিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি)-এর অনড় অবস্থান প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, “শাপলা প্রতীক কেন দেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা দেবে না ইসি। এটি কমিশনের সিদ্ধান্ত। আমরা কারও কথায় চলি না; নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে চাই।”
নতুন দলের নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি জানান, কাজ দ্রুত এগোচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে নয়, বরং কমিশনের নিজস্ব পদ্ধতিতে তথ্য যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া জাতীয় পার্টিকে সংলাপে ডাকা হবে কিনা সে বিষয়ে তিনি বলেন, “সময় আসুক, তখন দেখা যাবে।”
সিইসি জানান, নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষক যত আসতে চান, তাদের স্বাগত জানানো হবে। তিনি বলেন, “এখানে লুকোছাপার কিছু নেই, ভয়েরও কিছু নেই।”