রবিবার বিকেলে বরগুনার আমতলীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও বিএনপির স্থানীয় রাজনীতিতে এক নতুন বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অভিযোগ, তাদের দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে কিছু বহিষ্কৃত ব্যক্তি বিএনপিতে যোগদান করেছে এবং সাধারণ মানুষকে পাঁচকল্লি টুপি পরিয়ে ইসলামী আন্দোলনের কর্মী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
আমতলী উপজেলা ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মুফতি ওমর ফারুক জিহাদী দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। তিনি জানান, শনিবার রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড শাখার বহিষ্কৃত সভাপতি মো. নাশির উদ্দিন হাওলাদারের নেতৃত্বে প্রায় তিন শতাধিক ব্যক্তি বিএনপিতে যোগদান করেন। যোগদান অনুষ্ঠানে বরগুনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম মোল্লা এবং উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকির উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুফতি ওমর ফারুক অভিযোগ করেন, “নাশির উদ্দিনকে গত ৫ অক্টোবর দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে সকল পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। অথচ তিনি ইসলামী আন্দোলনের পরিচয় গোপন রেখে সাধারণ মানুষকে পাঁচকল্লি টুপি পরিয়ে আমাদের দলের কর্মী সাজিয়ে বিএনপিতে যোগদান করিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই যোগদান অনুষ্ঠানে ইসলামী আন্দোলনের কোনো নেতা বা চরমোনাই মতাদর্শে বিশ্বাসী কেউই ছিলেন না। এটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইসলামী আন্দোলনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা।”
সংবাদ সম্মেলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী মো. বায়েজিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফেজ মাওলানা ইউসুফ মাতুব্বরসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে নাশির উদ্দিন হাওলাদার ফোন কেটে দেন। তবে আমতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, “নাশির উদ্দিনের নেতৃত্বে কিছু ইসলামী আন্দোলনের কর্মী বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি বহিষ্কৃত হয়েছেন কি না, তা আমার জানা নেই। বিএনপি একটি বৃহৎ দল—কেউ যোগ দিতে চাইলে আমরা তা ফিরিয়ে দিতে পারি না।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমতলীর স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।







