কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকত এলাকার সেনা পরিচালিত পাঁচতারকা হোটেল ‘বে-ওয়াচ’-এ সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের একটি গেট টুগেদারকে কেন্দ্র করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গত ৩০ অক্টোবর আর্মি এভিয়েশনের একটি পরিবহন বিমানে ঢাকায় থেকে তারা কক্সবাজারে পৌঁছান এবং উক্ত হোটেলে ওঠেন।
জানা গেছে, ৪৪ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) ফজলুর রহমান মিঞা, যিনি অর্ডিন্যান্স কোরের সাবেক কর্মকর্তা। দলে ছিলেন ৮ জন সাবেক মেজর জেনারেল, ১২ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, একজন কর্নেল, একজন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ও একজন মেজর, পাশাপাশি কয়েকজন পরিবারের সদস্যও সফরে যোগ দেন।
এ দুদিন হোটেলটিতে অন্য কোনো অতিথির বুকিং নেওয়া হয়নি বলেও জানা গেছে। অনলাইন বুকিং সাইটেও ৩০ ও ৩১ অক্টোবর ‘সোল্ড আউট’ দেখানো হয়।
এটি সেনা সদর থেকে করা আয়োজন—এমন গুঞ্জন থাকলেও আইএসপিআর জানায়, তাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য নেই। সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় তারা সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, কর্মকর্তারা অবকাশ যাপন, বিচ ভ্রমণ ও গেট টুগেদার পার্টিতে অংশ নেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে ‘প্রবীণদের সম্মাননা অনুষ্ঠান’ বলা হলেও, এর পেছনে অন্য উদ্দেশ্য আছে কি না—সেটি নিয়ে আলোচনা চলছে। বিশেষত কিছু বিতর্কিত সাবেক সামরিক কর্মকর্তার উপস্থিতি সংশয় আরও বাড়িয়েছে। তবে দলে বেশ কয়েকজন সম্মানিত ও নির্দোষ প্রবীণ কর্মকর্তাও ছিলেন।
উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও সাবেক এমপি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, সাবেক মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান এবং ভারত সরকারের পদ্মশ্রী পদকপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির।
হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো তথ্য প্রদান করেননি। হোটেলের কর্মীরাও নিজেদের পরিচয় প্রকাশে অনীহা দেখান।
কক্সবাজারের সামরিক ও বেসামরিক গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে, সাবেক কর্মকর্তাদের এই দলটি ৩০ অক্টোবর থেকে অবস্থান করছে এবং ২ নভেম্বর কক্সবাজার ছাড়ার কথা।
এ নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের উপস্থিতির গুঞ্জন থাকলেও সূত্র জানায়, তিনি ইতোমধ্যে কক্সবাজার সফর শেষে ফিরে গেছেন এবং ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি।







