মৌচাকের ভেতরে মধু ও উষ্ণতা শুধু মানুষের নয়, ছোট প্রাণীদেরও আকর্ষণ করে। খাদ্য ও আশ্রয়ের খোঁজে ইঁদুর, টিকটিকি এমনকি পাখিরাও মৌচাকে প্রবেশ করে। তবে এই সাহসিকতা তাদের জন্য প্রাণঘাতী প্রমাণিত হয়।
মৌমাছিরা অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি টের পেলে তাৎক্ষণিকভাবে আক্রমণ করে এবং প্রাণীটিকে মেরে ফেলে। কিন্তু মৃতদেহটি বড় হওয়ায় মৌমাছিরা তা সরাতে পারে না। ফলে পচনশীল দেহ থেকে রোগ ও সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি হয়।
এই পরিস্থিতিতে মৌমাছিরা তাদের জন্মগত বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়। তারা প্রপোলিস নামক এক বিশেষ পদার্থ ব্যবহার করে মৃতদেহটি পুরোপুরি সিল করে দেয়। প্রপোলিস গাছের রজন ও মোম দিয়ে তৈরি এবং এতে রয়েছে:
মৃতদেহকে সংক্রমণমুক্ত ও দীর্ঘসময় অক্ষত রাখার ক্ষমতা। এটি অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল, পানিরোধী এবং বায়ুরোধী। প্রপোলিস মৃতদেহকে মমিকৃত করে পরিবেশকে সুশৃঙ্খল রাখে।
মৌমাছিরা এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের বাসস্থান রক্ষা করে এবং সংক্রমণ থেকে মৌচাককে সুরক্ষিত রাখে। এটি তাদের স্বাভাবিক প্রজ্ঞা, যা আল্লাহ্ প্রদত্ত।
সূরা আর-রহমানের শব্দ অনুসারে, “অতএব, তোমরা তোমাদের রবের কোন কোন নিআমতকে অস্বীকার করবে?”—এমনই প্রজ্ঞা দিয়ে ক্ষুদ্র প্রাণীও তাদের পরিবেশ রক্ষা করে, যা মানুষের জন্য আল্লাহর চমৎকার সৃষ্টি ও নিয়মের উদাহরণ।







