বরিশাল অঞ্চলের পাঁচটি আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। এর মধ্যে একটি আসনে জামায়াতের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দলের সাবেক নায়েবে আমির মরহুম মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী। আরেক আসনে রয়েছেন জামায়াতের আরেক প্রভাবশালী নেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। পিরোজপুর–২ আসনে সাঈদীর আরেক ছেলে শামিম সাঈদীর বিপরীতে তুলনামূলক দুর্বল প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। বরিশালের মোট ২১ টি আসনে প্রার্থী দেওয়ার কথা থাকলেও জামায়াতের সম্ভাব্য তিনটি আসনের মধ্যে দুইটিতে প্রার্থী না দেওয়া এবং একটিতে দুর্বল প্রার্থী দেওয়ার বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, দীর্ঘদিনের সহযোগী জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ফের জোরদার করতে বিএনপি নরম অবস্থান নিয়েছে। তবে দলটির নেতারা এ ধারণা নাকচ করে বলেছেন, জোটভিত্তিক প্রার্থী সমন্বয়সহ প্রার্থী বাছাইয়ের জটিলতার কারণেই কিছু আসনে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। শিগগিরই কেন্দ্রীয়ভাবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এছাড়া আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এবং গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের আসনেও এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি।
বরিশালের ২১টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। তাঁদের মধ্যে আটজন সাবেক সংসদ সদস্য। তবে দলীয় জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল এবং সাবেক এমপি নাজিমউদ্দিন আলম ও মেসবাহ উদ্দিন ফরহাদ এবার মনোনয়ন পাননি। প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পেয়েছেন যুবদল কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং সাবেক টেকনোক্র্যাট প্রতিমন্ত্রী মরহুম নুরুল ইসলাম মঞ্জুরের ছেলে সুমন মঞ্জুর। বাকিরা কেউ আগে সংসদ সদস্য ছিলেন, কেউবা মনোনয়ন পেলেও ভোটে নির্বাচিত হতে পারেননি। এখনো ঘোষণার অপেক্ষায় থাকা পাঁচটি আসনকে ঘিরেই আলোচনা সবচেয়ে বেশি।







