জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, গণভোটের দাবি উপেক্ষা করা হলে জাতীয় নির্বাচন গভীর সংকটে পড়তে পারে। তাই অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে তার ওপর গণভোটের তারিখ ঘোষণা করা জরুরি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় খুলনা-৫ আসনের ফুলতলা উপজেলার ৪নং ফুলতলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উদ্যোগে যুগ্নীপাশায় আয়োজিত ভোটার সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, কিছু সংস্কার বিষয়ে শুধু জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপি নয়, আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলেরও নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে। তাই ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত জুলাই জাতীয় সনদের খসড়াকে ভিত্তি করে গণভোটের প্রস্তাবনা তৈরি করতে হবে—যেখানে কোনো দলের নোট অব ডিসেন্ট অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। এটাই জনগণের প্রত্যাশা এবং জাতীয় দাবি।
তিনি বলেন, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে পারস্পরিক আলোচনাকে জামায়াতে ইসলামী স্বাগত জানায়। বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দলকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব ইতোমধ্যে জামায়াত দিয়েছে। তবে এই আলোচনার মধ্যস্থতা সরকারের উদ্যোগে হতে হবে, এবং জামায়াতে ইসলামী সেই প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
অধ্যাপক পরওয়ার আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রণীত সংস্কার বিষয়ে যেসব প্রস্তাবে সব দল একমত হয়েছে, জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো দলের এখন সেই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ বা নোট অব ডিসেন্ট যুক্ত করার দাবি অনুচিত ও অযৌক্তিক।
তিনি সতর্ক করে বলেন, সময় দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। তাই দল-মত নির্বিশেষে জাতীয় ঐক্যের স্বার্থে সব নোট অব ডিসেন্ট বাদ দিয়ে এখনই গণভোটের প্রস্তুতি শুরু করা প্রয়োজন। জনগণের প্রত্যাশা—জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হোক।
অধ্যাপক পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সরকারের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত রয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, সংস্কারসমূহ বাস্তবায়ন এবং সব অপরাধী, ফ্যাসিবাদী শক্তি ও তাদের সহযোগীদের বিচারের আওতায় আনা অপরিহার্য।







