রাজধানীর ১৪২টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একযোগে ব্যাপক মহড়া পরিচালনা করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। শনিবার বিকেল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় অংশ নেন প্রায় সাত হাজার পুলিশ সদস্য। রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’, বাংলাদেশ সচিবালয়, হাইকোর্ট, বঙ্গভবন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও এ মহড়ার আওতায় ছিল।
ডিএমপি জানায়, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবেই এ ‘কুইক রেসপন্স’ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে চলতি বছরের ৫ আগস্ট একই ধরনের সীমিত আকারের মহড়া হয়েছিল—এটি সেই ধারাবাহিকতার দ্বিতীয় আয়োজন।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, “যেকোনো তাৎক্ষণিক সংকটে দ্রুত সাড়া দিতে আমাদের সদস্যদের প্রস্তুত রাখতেই এই মহড়া আয়োজন করা হয়।”
পুলিশের একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার রাতে রাজধানীর কাকরাইল গির্জায় ককটেল বিস্ফোরণ এবং ধানমন্ডি শংকর এলাকায় কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের মশাল মিছিল ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তারই অংশ হিসেবে এই ব্যাপক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।
ডিএমপির আটটি বিভাগের মধ্যে তেজগাঁওয়ে ১৬টি, রমনায় ৩৪টি, মিরপুরে ১৪টি, মতিঝিলে ১৭টি, ওয়ারিতে ১৬টি, লালবাগে ১৫টি, গুলশানে ১৪টি এবং উত্তরায় ১৬টি—মোট ১৪২টি স্পটে এই মহড়া পরিচালিত হয়।
এক উপকমিশনার জানান, মহড়াটি মূলত ফোর্স ও অফিসারদের প্রদর্শনমূলক কার্যক্রমের অংশ। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে নিয়ন্ত্রণমূলক উপস্থিতি জোরদার করাই এর লক্ষ্য। যারা অরাজকতা বা সহিংসতার চেষ্টা করবে, তাদের নিরুৎসাহিত করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।







