কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম) আসনের বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী, জাতীয়তাবাদী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবেক ছাত্রদল নেতা ও হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক ট্রাস্টি সুরঞ্জন ঘোষ বলেছেন, “আগামী দিনের রাজনীতির ফয়সালা হবে।”
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে নিজের ফেসবুক আইডিতে প্রকাশিত আড়াই মিনিটের এক ভিডিও বার্তায় তিনি অভিযোগ করেন, “আওয়ামী লীগের হাসিনার প্রেতাত্মাদেরকেই বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে—এটা মেনে নেওয়া যায় না। শেখ হাসিনার সঙ্গে কে কত ঘণ্টা কথা বলেছে, কে কত টাকা লেনদেন করেছে—সব তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। সময়মতো প্রকাশ করব।”
সুরঞ্জন ঘোষ আরও বলেন, “দেশ এখন নির্বাচনমুখী। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ২৩৭ জন প্রার্থীর প্রাথমিক তালিকা তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমরা জানি, যেসব প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে ৫ আগস্টের পর, তাদের অনেকেই শেখ হাসিনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলে কেউ বিএনপির মনোনয়ন নিতে পারে না। যারা এমন মনোনয়ন দিয়েছেন, তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।”
হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের প্রতি বঞ্চনার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “হিন্দুদের ভোট চান, কিন্তু হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের মনোনয়ন দেন না—এটা অন্যায়। নব্বই ও আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপি ও ছাত্রদল গঠনে অনেক হিন্দু ছাত্র নেতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি, আন্দোলন করেছি, এরশাদকে উৎখাত করেছি। আজ আমাদের বঞ্চিত করে ভোট চাইছেন—তা হতে পারে না।”
তার ফেসবুক ভিডিও বার্তা নিয়ে জানতে চাইলে সুরঞ্জন ঘোষ বলেন, “এটাই আমার বক্তব্য। আমি কারও নাম উল্লেখ করিনি।”
উল্লেখ্য, কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপির মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা (পদ স্থগিত) অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে, যিনি অতীতে বিভিন্ন বিতর্কের কারণে আলোচিত-সমালোচিত ছিলেন।







