ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ছাত্রদলের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম তানজিন আহমেদ আবিদ (৩০)। তিনি ময়মনসিংহ নগরীর দৌলত মুন্সিরোড এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।

রবিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ শফিক উদ্দিন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই আবিদের মৃত্যু হয়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। দেখে মনে হচ্ছে, তিনি স্বাভাবিকভাবেই মারা গেছেন।
এর আগে বিকেলে গৌরীপুর পৌর শহরের পাটবাজার এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পান জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এম ইকবাল হোসেন। মনোনয়নবঞ্চিত হন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক তায়েবুর রহমান হিরণ।
মনোনয়ন বঞ্চনার পর থেকেই হিরণ সমর্থকরা রেলপথ অবরোধ ও সড়কে আগুন দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন। রবিবার বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেনের সমাবেশ ছিল গৌরীপুর সরকারি কলেজের হোস্টেল মাঠে, আর একই সময়ে হিরণের কর্মসূচি ছিল গৌরীপুর মধ্য বাজারে।
দুই পক্ষের সমাবেশে যাওয়ার পথে মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বাধে। এতে মঞ্চ, চেয়ার, মোটরসাইকেল ও দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর হয়। পরে কিছু দোকানের মালামাল বের করে আগুন দেওয়া হয়।
হিরণের পক্ষের দাবি, তাদের অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছে। অপরদিকে, ইকবালের পক্ষের দাবি, তাদের ১০ জন আহত এবং নিহত আবিদ ছিলেন তাদের সমর্থক, যিনি প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে মারা যান।
তবে হিরণের পক্ষ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের সময় তানজিন আহমেদ আবিদ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, “নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তিনি ইকবাল সাহেবের সভায় অংশ নিতে এসেছিলেন বলে জানা গেছে।”







