বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় ভারত তিনটি নতুন সেনা ঘাঁটি স্থাপন করেছে বলে খবর প্রকাশের পর লালমনিরহাটের সীমান্তবর্তী এলাকায় দেখা দিয়েছে উদ্বেগ ও আতঙ্ক। সীমান্তের দহগ্রাম ও আশপাশের গ্রামগুলোতে স্থানীয়দের মধ্যে এ নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সীমান্তে টহল জোরদার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ভারতের নবনির্মিত ঘাঁটিগুলো বাংলাদেশের সীমান্তের অদূরে স্থাপন করা হয়েছে এবং সেখানে আধুনিক অস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা মোতায়েন রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এ খবরে সীমান্ত এলাকায় অজানা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে।
দহগ্রামের সরকারপাড়া এলাকার মনির উদ্দিন বলেন, “এসব ঘাঁটি সম্ভবত সীমান্তে নজরদারি শক্তিশালী করা ও কৌশলগত দুর্বলতা পূরণের উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। কিন্তু এর ফলে আমাদের এলাকায় আতঙ্ক বেড়ে গেছে।”
দহগ্রাম সংগ্রাম কমিটির সম্পাদক রেজানুর রহমান রেজা বলেন, “ঘাঁটিগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট ও আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা বসানো হয়েছে বলে শুনছি। এতে সীমান্তবাসীর মনে ভয় কাজ করছে।”
সীমান্তের অধিবাসী দোলেয়ার হোসেন বলেন, “আমরা এমনিতেই নানা অনিশ্চয়তায় থাকি। এখন রাতে ঘুমাতেও ভয় লাগে, যেন কোনো মুহূর্তে গোলাগুলি শুরু হতে পারে।”
এ বিষয়ে লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের (১৫ বিজিবি) কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, “ভারতের সেনা ঘাঁটি স্থাপন তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে কেউ যেন গুজবে কান না দেন। একটি মহল সীমান্ত পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করছে। বিজিবি সব সময় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।”







