জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন অভ্যুত্থানের প্রধান ম্যান্ডেট সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তখন প্রথম বাধা আসতে শুরু করেছে সচিবালয় ও এনবিআর থেকে। দাবি আদায়ের নামে দেশে প্রশাসনিক অচলাবস্থা আর অর্থনৈতিক স্থবিরতা তৈরির অপচেষ্টা চলছে। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের অংশিজনরা জীবিত থাকতে যে কোনো মুল্যে এই সংস্কারের ধারা অব্যাহত থাকবে। সচিবালয় থেকে বাধা আসলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা মোকাবিলা করা হবে।
শেখ হাসিনাও ভেবেছিলো তার বিকল্প নেই কিন্তু ৫ আগস্ট জনগণ তার বিকল্প খুঁজে নিয়েছে। এখন যদি কেউ ভেবে থাকে তার বিকল্প নেই তবে জনগণই বিকল্প খুঁজে নেবে।
সোমবার সকালে চট্টগ্রামের বিপ্লব উদ্যান থেকে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে মৌলিক সংস্কার ও নতুন সংবিধানের রূপরেখা সংক্রান্ত পথসভার দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচির শুরুতে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর দুর্নীতির আতুড়ঘর হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এনবিআর আর আমাদের অসহায় দুর্ভোগের রেজিমেন্ট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সচিবালয়। ৫ আগস্টের আগে গণহত্যার বিরুদ্ধে সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তাও কথা বলেনি। ছাত্র জনতার পক্ষ থেকে অসহোযোগের ডাক দিলেও কেউ কাজ বন্ধ রাখার সাহস দেখায়নি। বরং সবাই কালো ব্যাজ ধারণ করে হাসিনার পদলেহন করে গণহত্যাকে সমর্থন যুগিয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের নেতাদের সমন্ময়ে গড়ে ওঠা নতুন এই রাজনৈতিক দলের দেশ গঠনের পরিকল্পনা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতেই গত রোববার থেকে চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় পথসভার আয়োজন করেছে এনসিপি।
রোববার দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত ৯টি পখসভায় বক্তব্য রাখেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। সোমবার উত্তর জেলার ৬টি এলাকায় পথসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
এসময় হাসনাতের সঙ্গে ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তাননিম জারা, মীর আরশাদুল হক, আজিজুর রহমান রিজভিসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।