মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জলমহাল থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ লুটের অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতা মো. আব্দুল আহাদের বিরুদ্ধে। সোমবার সকাল ৯টার দিকে ভুনবীর ইউনিয়নের শাসন লতুয়া খালকাটা বিলে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রাতে শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগ করেন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সম্পাদক ও আলীসারকুল এলাকার বাসিন্দা সুজিত সরকার। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে যুবদল নেতা আব্দুল আহাদ সমিতির কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ৩০ নভেম্বর রাতে আহাদ মাইকিং করে জলমহালের ইজারা ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেন। পরদিন সকালে তার নেতৃত্বে শতাধিক লোক জলমহালে ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায়, এতে সমিতির প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। বাধা দিতে গেলে হামলার চেষ্টা করা হয় এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন, থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলামসহ পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
সুজিত সরকার জানান, উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে তিন বছরের জন্য লতুয়া বিল লিজ নেওয়া হয়েছে। আব্দুল আহাদ নিজেকে মৌলভীবাজার-৪ আসনের বিএনপি নেতা হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরীর লোক পরিচয়ে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে আসছিলেন। চাঁদা না দেওয়া হলে মুজিবুর রহমান চৌধুরী তাকে মাছ তুলে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে দাবি করেন আহাদ।
অভিযোগ অস্বীকার করে যুবদল নেতা আহাদ জানান, চাঁদাবাজির বিষয়টি মিথ্যা। মৎস্যজীবী সমিতি বিলটি অন্যের মাধ্যমে চালান, তাদের স্বার্থেই অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, হাওরে নেটের বেড়ার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের সমস্যার কথা তুলে ধরতেই তারা উদ্যোগ নিয়েছেন।
মৌলভীবাজার-৪ আসনের বিএনপি প্রার্থী হাজী মুজিবুর রহমান চৌধুরী বলেন, কেউ যদি চাঁদাবাজি বা সন্ত্রাসী কাজ করে, সে তার লোক নয়। প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, মৎস্য কর্মকর্তা ও এসিল্যান্ডকে বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।







