আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তা এবং মরদেহ ও আলামত গুমের মামলার শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেছেন, সারা দেশে গণহত্যা ফ্যাসিলিটেট করা এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সেই তথ্য আড়াল করার নেপথ্য মাস্টারমাইন্ড ছিলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বুধবার মামলার শুনানি শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তাজুল ইসলাম বলেন, জয় দেশে কখনো আসেননি—এ কথা সঠিক নয়। তিনি রাষ্ট্রের বেতনভুক্ত উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আইসিটি উপদেষ্টা হিসেবে ইন্টারনেট বন্ধে ভূমিকা নিয়ে গণহত্যা আড়াল করার প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত ছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, জয়ের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে হবে এবং তাঁর বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ আছে।
এদিকে বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ চেয়ে পৃথক দুটি আবেদন করেছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও প্রধানমন্ত্রী উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। যুক্তরাজ্য থেকে দুজন আইনজীবী আনার আবেদন বুধবার ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়। প্রসিকিউশন জানায়, বিদেশি আইনজীবী নেওয়ার সুযোগ আছে, তবে তা আইনগত শর্তসাপেক্ষ।
জুলাই হত্যাযজ্ঞের মামলায় হাজির হন আনিসুল হক ও সালমান এফ রহমান। অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭ ডিসেম্বর। উপস্থিত না থাকায় সজীব ওয়াজেদ জয়কে আদালতে হাজির করতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইন্টারনেট বন্ধ করে হত্যাযজ্ঞে সহায়তার মামলায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। একই দিনে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আরও দুইজন সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলায় মোট সাক্ষ্যদাতার সংখ্যা দাঁড়াল ২৪ জন।







