বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম অভিযোগ করেছেন, ‘সংস্কার যাত্রা ও নির্বাচনকে প্রশ্নের মুখে ফেলছে নির্বাচন কমিশন।’ বুধবার সেগুনবাগিচায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাসনাত কাইয়ূম বলেন, জাতীয় নির্বাচন সামনে। যেকোনো সময় তফসিল ঘোষণা হতে পারে। সারাদেশে তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দলীয়ভাবে এবং গণতান্ত্রিক সংস্কার জোটের অংশ হিসেবেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আলোচনা চলছে।
তিনি জানান, তাদের নিবন্ধন আবেদন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের গড়িমসি উদ্বেগজনক। ২০২২ সালে আবেদন করার পর কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কমিশন তা খারিজ করে। তবে এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর আদালত রুল ‘অ্যাবসলিউট’ করে তাদের পক্ষে রায় দেন ও নিবন্ধন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। পরে গত ৩ নভেম্বর সংশোধিত গঠনতন্ত্র কমিশনে জমা দেওয়া হলেও ১০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনও কোনো অগ্রগতি নেই।
হাসনাত কাইয়ূম অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশনের এই মনোভাব রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে আগামী নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা। নির্বাচন কমিশন যদি এভাবে দায়িত্বহীন আচরণ করে, তবে জাতীয় নির্বাচন, গণভোট এবং সংস্কার যাত্রা প্রশ্নবিদ্ধ হবে—যা স্বৈরাচার ও সংস্কারবিরোধীদের উদ্দেশ্য পূরণ করবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, নির্ধারিত সময়ে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন জরুরি। সংস্কার যাত্রাকে শক্তিশালী করতে এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন অবিলম্বে দলটির নিবন্ধন নিশ্চিত করার দাবি জানায়। অন্যথায় তারা আদালত ও জনতার আদালতে নির্বাচন কমিশনের জবাবদিহি নিশ্চিত করবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হাসিব উদ্দিন হোসেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান সেলিম এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভুঁইয়া প্রমুখ।







