চট্টগ্রাম এলজিইডি অফিসে গত দুই দিন ধরে চলছে অদ্ভুত নাটকীয়তা। বুধবার একইদিনে একই কার্যালয়ে দায়িত্ব পালন করেন দুই নির্বাহী প্রকৌশলী—আবদুল মতিন ও হাসান আলী। এতে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে তৈরি হয় বড় ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এবং বিষয়টি ইতোমধ্যে সরকারি দফতরগুলোতে গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার দু’জনের কেউই অফিসে উপস্থিত ছিলেন না।
সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সদ্য বিদায়ী উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া পদত্যাগের আগের দিন, ৯ ডিসেম্বর রাতে এক প্রজ্ঞাপনে কুমিল্লা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মতিনকে চট্টগ্রামে এবং চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আলীকে ঢাকায় বদলি করা হয়। প্রজ্ঞাপনটি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌঁছায় ১০ ডিসেম্বর দুপুরে। সেখানে ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কিন্তু অফিসিয়াল নথি হাতে পাওয়ার আগেই ১০ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় চট্টগ্রাম কার্যালয়ে হাজির হন আবদুল মতিন। সকাল ৯টায় আগের নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আলী অফিসে এসে মতিনকে দেখেই বদলির খবর জানতে পারেন। দুপুরে প্রজ্ঞাপন আনুষ্ঠানিকভাবে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত দু’জনই একই অফিসকক্ষে কার্যত অবস্থান করেন, যা অফিসজুড়ে অস্বস্তির সৃষ্টি করে।
আবদুল মতিনকে ঘিরে বিতর্ক নতুন নয়। কুমিল্লায় দায়িত্ব পালনকালে বিদায়ী উপদেষ্টার অগোচরে তার পিতাকে ঠিকাদারি লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এ ছাড়া উপদেষ্টার নাম ভাঙিয়ে মন্ত্রণালয়ে প্রভাব খাটানোরও অভিযোগ রয়েছে। উপদেষ্টা পদত্যাগের ঠিক আগমুহূর্তে প্রভাব খাটিয়ে তিনি চট্টগ্রামের মতো দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কার্যালয়ে বদলির আদেশ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করছেন এলজিইডির কয়েকজন কর্মকর্তা।
তারা জানান, নতুন উপদেষ্টা দায়িত্ব নিলে বদলির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই আবদুল মতিন তড়িঘড়ি করে আনুষ্ঠানিক আদেশ পাওয়ার আগেই যোগদানের উদ্যোগ নেন।
একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও আবদুল মতিনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে চট্টগ্রাম থেকে বদলি হওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আলী বলেন, ১৪ ডিসেম্বর যোগদানের তারিখ থাকলেও মতিন আগেই এসে যোগ দিয়েছেন। তিনি জানান, অফিসিয়াল হ্যান্ডওভার–টেকওভার ১৪ ডিসেম্বরেই সম্পন্ন হবে।







