সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক জুয়েল শেখের বিরুদ্ধে ৭ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বোন গত ৯ ডিসেম্বর রাতে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জুয়েল শেখের সঙ্গে বিয়ের দাবিও জানান। জুয়েল শেখ সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার সাহেদনগর বেপারীপাড়া মহল্লার মোয়াজ্জেল শেখের ছেলে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রায় ১১ মাস আগে ফেসবুকে জুয়েল শেখের সঙ্গে স্কুলছাত্রীর পরিচয় হয়। পরবর্তীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে তাকে শারীরিকভাবে স্পর্শকাতরভাবে হয়রানি করেন তিনি। ছাত্রীটি বিয়ের জন্য চাপ দিলে জুয়েল দাবি করেন, দলীয় পদ পাওয়ার পর বিয়ে করবেন। পরে তিনি তার মোবাইল ফোন থেকে দীর্ঘমেয়াদি যোগাযোগের নথি ডিলেট করে দেন।
স্কুলছাত্রী বিয়ের কথা পুনরায় জানালে জুয়েল বিয়ে করতে অস্বীকার করেন। গত ৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ছাত্রীটি জুয়েলের বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানালে পরিবারের সদস্যরা তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন এবং হুমকি দেন—আর সেখানে গেলে প্রাণনাশ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রীর বোন বলেন, তার বোনের সঙ্গে যা হয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য, এবং অভিযুক্তের শাস্তি চান। তিনি অভিযোগ করেন, থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরও তা এজাহার হিসেবে গ্রহণ করা হয়নি এবং তাদের পরিবার নানা হুমকি ও চাপের মুখে রয়েছে।
অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা জুয়েল শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই এবং অভিযোগটি মিথ্যা। তিনি দাবি করেন, বিষয়টি দুই মাস আগে একবার স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা হয়েছিল কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। বরং স্কুলছাত্রী তার ফেসবুক আইডিতে জুয়েলের ছবি ব্যবহার করে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়ায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।







