আওয়ামী ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা এবার মসজিদে ঢুকে মব সৃষ্টি করে চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের জামায়াতের মনোনীতপ্রার্থী আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরীকে লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছে।
গত শুক্রবার হযরত কালুশাহ জামে মসজিদে জুমার নামাজের পূর্বে তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে ওই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম-৪ সীতাকুণ্ড আসনের বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও দলটির মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী। তিনি গত শুক্রবার উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নে হযরত কালুশাহ জামে মসজিদে জুমার নামাজের পূর্বে মসজিদে দাঁড়িয়ে মুসল্লিদের কাছে দোয়া কামনা করেন। এ সময় মসজিদের বাহিরে থাকা কিছু ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা ভিতরে ঢুকে জড়ো হয়ে বিভিন্ন ভাষায় তাকে লাঞ্ছিতের চেষ্টা করে হট্টগোল বাজিয়ে মব সৃষ্টি করে। মসজিদের ভিতরে মব সৃষ্টিকারী ওই ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন মামলার আসামি। তাদের নামে থানায় মামলা রয়েছে। মসজিদে ঢুকে জামায়াতের মনোনীতপ্রার্থীকে লাঞ্ছিতের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়।
আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী আমার দেশকে বলেন, বিগত দুই মাস যাবত উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে মসজিদ কমিটির অনুমতি নিয়ে শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে দুই চার মিনিট বক্তব্য দিয়ে আসছি। এসময় আমি আমার বক্তব্যে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পরিচিতি তুলে ধরি এবং মুসল্লিদের কাছে দোয়া কামনা করে আসছি। তারই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার হযরত কালুশাহ কমপ্লেক্স মসজিদে নামাজের পূর্বে আমি দাঁড়িয়ে প্রথমে আমার ও পরিবারের পরিচিতি তুলে ধরি এবং মুসল্লীদের কাছে দোয়া চেয়েছি। এসময় মসজিদের বাহিরে থেকে কিছু ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসী এবং বিভিন্ন মামলার আসামি আমাকে কটাক্ষ করে উচ্চস্বরে বিভিন্নভাবে কথা বলতে থাকে এবং আমাকে নাজেহাল ও অপমান করার চেষ্টা করে। পরবর্তীতে পুলিশ আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
মসজিদের মুসল্লি সেলিম মেম্বার আমার দেশকে বলেন, বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মসজিদে বক্তব্য দিতে আসলে শুক্রবার জুমার নামাজের সময় পর্যন্ত পিছিয়ে দিয়েছে। জামায়াতের একজন সিনিয়র নেতা ও মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ওনার পরিবারের ও ব্যক্তিগত পরিচিতি তুলে ধরেছেন এবং মুসল্লিদের কাছে দোয়া চেয়েছেন। উনি কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেননি।
মসজিদের মুসল্লি ব্যবসায়ী তারেক আমার দেশকে বলেন, হযরত কালুশাহ কমপ্লেক্স মসজিদের সাবেক খতিব ওমাইয়া রেজবির কিছু ভক্ত ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিভিন্ন মামলার আসামি প্রায় ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী একত্রিত হয়ে মসজিদের ভিতরে মব সৃষ্টি করে জামায়াতের মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থীকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করার চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে পুলিশ আসলে তারা পালিয়ে যায়।
সীতাকুণ্ড থানার ওসি মুজিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ বা মামলা করতে আসেননি।