দেশের ব্যাংক লকারগুলো এখন সাদা ও কালো টাকার সম্পদের নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে লাখো লকারে কী রাখা আছে, কত টাকার বৈধ বা অবৈধ সম্পদ মজুত রয়েছে—তা রক্ষকদেরও অজানা। বৈধভাবে ভাড়া নেয়া লকারে অবৈধ সম্পদ রাখলেও তা খতিয়ে দেখার কোনো ক্ষমতা নেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। লকারে কোটি টাকার সম্পদ থাকলেও জবাবদিহির বাধ্যবাধকতা নেই, আবার চুরি বা ক্ষতির শিকার হলেও দায় নেয় না ব্যাংক।
অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংক লকার ব্যবস্থার জন্য আধুনিক ও সুস্পষ্ট নীতিমালা জরুরি। তাদের মতে, যথাযথ আইন ও নীতিমালা না থাকায় কালো টাকার মালিকরা বিপুল সম্পদ লুকিয়ে রাখার সুযোগ পাচ্ছেন, যা মূল অর্থনীতির বাইরে থেকে যাচ্ছে। গৃহিণীদের স্বর্ণালঙ্কার বা বাড়ি-ফ্ল্যাটের দলিল লকারে রাখা স্বাভাবিক হলেও, অনেক ক্ষেত্রে সন্দেহজনক লকার খুলে পাওয়া যাচ্ছে কাড়িকাড়ি ডলার-পাউন্ড, স্বর্ণের বারসহ বিপুল পরিমাণ বৈধ-অবৈধ সম্পদ।







