জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন আগামী ১১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩৩ বছর পর। ইতোমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় শেষ হয়েছে। নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ইসলামী ছাত্রশিবির ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ তাদের প্যানেল ঘোষণা করলেও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এখনো প্যানেল দিতে পারেনি শাখা ছাত্রদল।
সূত্র জানায়, গত ৮ আগস্ট ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত শিক্ষার্থীদের দিয়ে বর্ধিত ও হল কমিটি ঘোষণা করে। তবে তাতে সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী, বহিষ্কৃত ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করায় সংগঠনের ভেতর ক্ষোভ দেখা দেয়। এতে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা শীর্ষ পাঁচ নেতাকে (সুপার ফাইভ) ক্যাম্পাসে প্রবেশে বাধা দেন। পরে ১৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে তারা ক্যাম্পাসে ঢুকলেও দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে সংগঠনটি।
২১ আগস্ট থেকে টানা মিটিং করে প্যানেল গঠনের চেষ্টা চালানো হলেও শীর্ষ পাঁচ নেতা ও বিদ্রোহী নেতাদের মধ্যে পদ নিয়ে সমঝোতা হয়নি। বিদ্রোহীরা সহ-সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদ দাবি করলে সুপার ফাইভ তা প্রত্যাখ্যান করে। এ নিয়ে বিএনপিপন্থি শিক্ষকরাও আলোচনায় বসেন, তবে কোনো সমাধান আসেনি। ফলে নির্ধারিত দিনে প্যানেল ঘোষণা সম্ভব হয়নি।
এদিকে প্রধান তিনটি পদ নিয়েও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের মধ্যে মতপার্থক্যের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি প্রার্থীদের নাম তারেক রহমানের কাছে সুপারিশ করার কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা দাবি করেছেন, তারা কেবল বিভাজনের বিষয়ে বিব্রতবোধ জানাতে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল গঠনে তাদের কোনো ভূমিকা নেই।
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দীন মোহাম্মদ বাবর বলেছেন, “আমাদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। বড় সংগঠন হওয়ায় একই পদে একাধিক মনোনয়ন জমা পড়েছে। মনোনয়ন প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে। প্রতিযোগিতা বেশি থাকায় দেরি হচ্ছে, তবে শিগগিরই প্যানেল ঘোষণা করব।”