চলতি মাসের শেষের দিকে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে (ইউএনজিএ) ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে বেলজিয়াম স্বীকৃতি দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপপ্রধানমন্ত্রী ম্যাক্সিম প্রিভোট।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ভোরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক বার্তায় তিনি বলেছেন, ‘জাতিসঙ্ঘের অধিবেশনে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে বেলজিয়াম এবং ইসরাইলি সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।’
তিনি বলেন, তারা ইসরাইলের ওপর ১২টি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে। এর মধ্যে রয়েছে অধিকৃত পশ্চিমতীরে অবৈধ ইসরাইলি বসতি থেকে পণ্য আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং ‘ইসরাইলি কোম্পানিগুলোর সাথে সরকারি ক্রয়নীতির পুনর্মূল্যায়ন’।
বেলজিয়ামের মধ্যপন্থী খ্রিস্টান ডেমোক্র্যাট দলের সদস্য প্রিভোট বলেন, ‘ফিলিস্তিনে, বিশেষ করে গাজায় যে মানবিক বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটছে তার পরিপ্রেক্ষিতে’ বেলজিয়াম এই ঘোষণা দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, যখন গাজা থেকে শেষ পণবন্দী মুক্তি পাবেন এবং ‘ফিলিস্তিন পরিচালনায় হামাসের আর কোনো ভূমিকা থাকবে না’, তখনই কেবল আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া হবে স্বীকৃতি।
বেলজিয়ামের বার্তাসংস্থা বেলগার তথ্যমতে, ফ্লেমিশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য ও বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী বার্ট ডি ওয়েভার গত মাসে বলেছিলেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়ার পাশাপাশি কঠোর শর্ত দেয়া উচিত।
এর আগে, জুলাইয়ের শেষের দিকে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঘোষণা করেছিলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) জন্য বিশ্ব নেতারা যখন মিলিত হবেন তখন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে ফ্রান্স।
আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালীন ফ্রান্স ও সৌদি আরব ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি সংক্রান্ত বৈঠকের যৌথ আয়োজন করবে। অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও যুক্তরাজ্যও জানিয়েছে, তারা এই মাসে ফিলিস্তিনকে শর্তসাপেক্ষে স্বীকৃতি দেয়ার পরিকল্পনা করছে।