চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা তা এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি ছাত্রদল। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান জানিয়েছেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ও নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে তাদের শঙ্কা রয়েছে।
বুধবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দলকানা প্রশাসনের অধীনে কতটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনে অংশ নেবেন কিনা, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে সংস্কার করতে হবে। দলকানা রেজিস্ট্রার, প্রক্টর এবং নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিবকে সরিয়ে নিরপেক্ষ ব্যক্তিদের দায়িত্ব দিতে হবে। আমি বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলছি না, একেবারে নিরপেক্ষদের দায়িত্ব দিতে হবে।”
চাকসু নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বিতরণ শুরু হবে ১৪ সেপ্টেম্বর। মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে ১৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ অক্টোবর।
উল্লেখ্য, চবি প্রশাসনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দলান্ধতার অভিযোগ করে আসছে ছাত্রদল। সম্প্রতি স্থানীয় গ্রামবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের পর প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতেও আন্দোলন করেছে সংগঠনটি।