ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ইসলামী ছাত্রশিবিরের জনশক্তি এখন শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। সর্বমোট কর্মী, সাথী ও সদস্য মিলে তাদের জনশক্তি ৪৬০০ জন বলে জানা গেছে।
ডাকসু নির্বাচনে প্রচারণায় সরাসরি অংশ নিয়েছিল প্রায় আড়াইশ জন। নির্বাচনে হেরে গেলে যাদের ক্যাম্পাস ছাড়তে হতো, তারা ছিল ফ্রন্টলাইনে। তবে নির্বাচনের পর হাজার খানেক জনশক্তি মাঠে নেমেছিল, যাদের অনেকে শিক্ষাজীবনের শেষ পর্যায়ে।
বাকী প্রায় ৩৬০০ জনকে শিবির ‘গুপ্ত’ অবস্থায় রেখেছে। তাদের দাবি, ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক পরিবর্তন হলে এদের ব্যবহার করা হবে। শিবিরের পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী তিন মাসে তাদের জনশক্তি ৭ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে শিবিরের অন্তত ৩৬ জন টপার রয়েছে, বিশেষত ফাইনাল ইয়ারে। অনেকে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ম্যাজিস্ট্রেট, এএসপি কিংবা অন্যান্য প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা হওয়ার পথে। শিবির প্রকাশ্যে তাদের সামনে আনে নাই, যাতে ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারে ঝুঁকিতে না পড়ে।
অন্যদিকে, যারা সরাসরি রাজনীতিতে এসেছে— যেমন ভিপি সাদিক কায়েম বা এজিএস মহিউদ্দিন খান— তারা জানত, সরকারি চাকরির সুযোগ স্যাক্রিফাইস করেই এই পথ বেছে নিতে হবে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শুধু ঢাবি নয়, বুয়েট ও ঢামেক থেকেও বিসিএস প্রশাসন ও পুলিশে শিবিরের শক্ত উপস্থিতি তৈরি হয়েছে। অনেক সাবেক নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছেন, যাদের অনেকে বিএনপি সমর্থিত সাদা দলে যোগ দিয়েছেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভবিষ্যতে জাতীয় রাজনীতিতে শিবিরের এই গুপ্ত ও প্রকাশ্য শক্তি বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে।