আফগানিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তাজনিত চ্যালেঞ্জ ও দীর্ঘদিনের যুদ্ধ-সংঘাতের মাঝেও নতুন করে অর্থনৈতিক বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আফগানিস্তানের জন্য মার্কিন বিশেষ দূত অ্যাডাম বোহলার ঘোষণা দিয়েছেন, আফগানিস্তানে বিনিয়োগ করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত।
তিনি বলেন, “আফগানিস্তানের টেকসই উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্য অর্থনৈতিক বিনিয়োগ অপরিহার্য। অবকাঠামো, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ, কৃষি এবং প্রযুক্তি খাতে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।”
বোহলার আরও উল্লেখ করেন, আফগানিস্তানের ভৌগোলিক অবস্থান ও প্রাকৃতিক সম্পদ দেশটিকে আঞ্চলিক সংযোগ ও বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র সে সুযোগ কাজে লাগাতে চায়। তবে এই বিনিয়োগ সফল করতে হলে দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া জরুরি বলে তিনি শর্ত দেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ ধরনের বিনিয়োগ আফগানিস্তানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতিকে পুনর্গঠনে সহায়তা করবে। পাশাপাশি, আঞ্চলিক শক্তিগুলোর (বিশেষত চীন ও রাশিয়া) প্রভাব মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত স্বার্থও এতে প্রতিফলিত হচ্ছে।
তারা আরও মনে করছেন, আফগানিস্তানে নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি হলে স্থানীয় জনগণ উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হবে, যা দীর্ঘমেয়াদে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে।
এ ঘোষণার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ইঙ্গিত দিয়েছে, সামরিক অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে তারা আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অধ্যায়কে অগ্রাধিকার দিতে চায়।