সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও বিভিন্ন জনমত পপুলারে প্রচারিত কিছু বিবেচনায় দাবি উঠেছে যে ব্যবসায়ী ও নেতা জাহেদ উর রহমানকে নিয়েই ঘনশীতল সম্পর্ক ও সম্ভাব্য ব্ল্যাকমেইলিংয়ের অভিযোগ অর্থাৎ ব্যক্তিগত তথ্য ঝুঁকিতে রেখে চাপ দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছিল—মিয়াঁমতিপ্রতিক্ত দাবি অনুসারে তা শুধু ব্যক্তিগত বিষয় নয়, রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও হতে পারে।
কয়েকজন সাংবাদিক ও বিশ্লেষক এই দাবি করেছেন; তাঁদের বক্তব্যে বলা হয়েছে, যদি জাহেদ উর রহমানের স্ত্রীর টানানো টাইমলাইন সত্য হয় thì ঘটনাটির পেছনে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বা পারিবারিক উত্তেজনা নয়—সরকারি গঠনের অন্তর্ভুক্ত কোনো তত্ত্বাবধানকারী সংস্থারও সংশ্লিষ্টতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাঁরা বলেছেন, জাহেদ কোনো সাধারণ নাগরিক নন; রাজনৈতিকভাবে পরিচিত এক ব্যক্তি হওয়ায় বিষয়টি শুধুমাত্র ব্যক্তিগত বিবাদ হিসেবে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
এই দাবিগুলোতে বলা হয়েছে—জাহেদ, তাঁর স্ত্রী ও ভিডিও/অডিওতে কথা বলা অন্য ব্যক্তিদের বিষয়ে দ্রুত ও তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান দরকার। অনেকে জানিয়েছে, বিএনপিকেও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখতে হবে এবং প্রয়োজন হলে অভিযুক্ত নেত্রীকে সংগঠনের বিচারে তুলতে হবে।
উল্লেখ্য, এসব অভিযোগ ও দাবি এখনো স্বাধীনভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে সরাসরি জাহেদের বা অভিযোগের উদ্দেশ্যে নাম নেওয়া ব্যক্তিদের প্রতিক্রিয়া বা তদন্তকারী কোনো সরকারি সংস্থার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বিশ্লেষকরা বলেন, ব্যক্তিগত বিবাদ যদি বড় রাজনৈতিক প্রভাব ফেলতে পারে এমন আভাস দেয়, তখন স্বচ্ছ তদন্ত ও দ্রুত তথ্যপ্রকাশই পরিস্থিতি নিবারণের সবচেয়ে দায়িত্বশীল উপায়—নিজস্ব মন্তব্য বা সামাজিক প্রচারণার ওপর ভর করে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত নয়। তাই কিছু রাজনৈতিক ও নাগরিক মহল সরকারের কাছে আশা করছেন—ঘটনাটি স্বতন্ত্রভাবে ও অবাধ তদন্ত করা হবে এবং প্রয়োজনে ন্যায়বিচার দ্রুত কার্যকর করা হবে।