২৩ বছর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মুশফিক উদ্দিন টগরকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। রাজধানীর লালবাগ থানাধীন আজিমপুর এলাকা থেকে বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে একটি রিভলবার ও ১৫৬ রাউন্ড গুলিসহ তাকে আটক করা হয়।

র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃত টগর বুয়েট ছাত্রদলের তৎকালীন সভাপতি মোকাম্মেল হায়াত খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের তৎকালীন ছাত্রদল নেতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
ঘটনাটি যেভাবে ঘটেছিল
২০০২ সালের ৮ জুন বুয়েট ক্যাম্পাসে দরপত্র নিয়ে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান কেমিপ্রকৌশল বিভাগের ১৯৯৯ ব্যাচের ছাত্রী সাবেকুন নাহার সনি। ক্লাস শেষে হলে ফেরার পথে সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে তিনি নিহত হন।
ঘটনাটি সেসময় সারাদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে, মুশফিক উদ্দিন টগরসহ কয়েকজন সরাসরি ওই সংঘর্ষে ব্যবহৃত অস্ত্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এরপর তাদের আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেফতারের পরবর্তী পদক্ষেপ
র্যাব জানিয়েছে, দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর সম্প্রতি রাজধানীতে অবস্থান করছিলেন টগর। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

সাবেকুন নাহার সনির মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড দেশের ছাত্ররাজনীতিতে সহিংসতার এক কালো অধ্যায় হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।