রাজনৈতিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই এগোবে এবং জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার কাজ চালিয়ে যাবে। তবে যে কোনো রাজনৈতিক গ্রুপ এনসিপির উদ্দেশ্যের সঙ্গে একমত হলে, তাদের স্বাগত জানানো হবে।
শুক্রবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে জাতীয় সমন্বয় সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। নাহিদ ইসলাম অভিযোগ করেন, গণঅভ্যুত্থানে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগ সরকার ও রাষ্ট্রযন্ত্রের ভেতর থেকে আশকারা পেয়ে মিছিল করছে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জনগণ ও সব রাজনৈতিক শক্তির ঐক্য ধরে রাখা জরুরি।
জামায়াতের নেতৃত্বে চলমান যুগপৎ আন্দোলনে অংশ না নেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা নিম্নকক্ষের পিআরের বিরুদ্ধে। আমরা শুধু কার্যকর উচ্চকক্ষ চাই যেখানে জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। জুলাই সনদের বাস্তবায়নই আমাদের লক্ষ্য।” তিনি আরও জানান, এই মুহূর্তে বড় কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটভিত্তিক রাজনীতির পরিকল্পনা নেই এনসিপির।
সাম্প্রতিক আন্দোলন ও রাজনৈতিক সমন্বয়ের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা আমাদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য পরিষ্কার করেছি। যে রাজনৈতিক শক্তিই এই উদ্দেশ্যের সঙ্গে একমত হবে, তারা আমাদের সঙ্গে আসতে পারে। সারাদেশের নেতাকর্মী ও জনগণের প্রতি আমাদের বার্তা হলো— জাতীয় নির্বাচন ও গণপরিষদ নির্বাচনের জন্য সাংগঠনিক প্রস্তুতি নিতে হবে এবং ফ্যাসিবাদ, দুর্নীতি ও পতিত আওয়ামী লীগের তৎপরতার বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, রাজধানীসহ সারাদেশে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের কার্যক্রম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মূল লক্ষ্যবস্তু এনসিপি, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নেতাকর্মী, শহীদ পরিবার, আহত ও জুলাইয়ের যোদ্ধারা। নাহিদ ইসলামের মতে, সরকারের অক্ষমতা এবং পুলিশ বাহিনীর সংস্কার না হওয়ায় আওয়ামী লীগ এই সুযোগ পাচ্ছে।