পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নে বিএনপি নেতার হুমকির কারণে চালিতাবুনিয়া তালুকদার বাড়ি জামে মসজিদের প্রায় ১৫ একর জমি অনাবাদি পড়ে আছে। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় বিএনপি নেতা নজরুল খাঁন চাষাবাদে বাধা দেওয়ায় ভুক্তভোগীরা থানা ও উপজেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও প্রতিকার মেলেনি।
সূত্র জানায়, চম্পাপুরের কৃষ্ণপুর মৌজার এসএ ৩৩ নম্বর খতিয়ানের ১৫.৮০ একর জমি ১৯৫৭ সালে দানবীর সফিজ উদ্দিন হাওলাদার ওয়াকফ দলিল মূলে মসজিদের নামে হস্তান্তর করেন। এরপর থেকে প্রায় সাত দশক ধরে জমির আয় মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় হয়ে আসছিল। তবে গত বছর চাষাবাদে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এ বছরও মৌসুম শেষে জমি অনাবাদি থেকে যায়।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণপুর-১৮ মৌজার ৪ নম্বর খতিয়ানের ১৪.৬৩ একর জমি মসজিদের নামে মোতওয়াল্লি পরিচালিত ওয়াকফ এস্টেটভুক্ত। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বকেয়াসহ ৩২ হাজার ১৪০ টাকা ভূমি উন্নয়ন করও পরিশোধ করা হয়েছে।
মসজিদ কমিটির সদস্য আতিকুর রহমান পিন্টু জানান, জমি চাষের জন্য ইউএনও বরাবর আবেদন করা হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
এ বিষয়ে চম্পাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল খাঁন দাবি করেন, “ওই জমি আমাদের, এ নিয়ে মামলা চলছে। আওয়ামী লীগ আমলে তালুকদার পরিবার জোরপূর্বক জমি ভোগদখল করেছে। আমরা বুঝে না পাওয়া পর্যন্ত জমি অনাবাদি থাকবে।”
তবে উপজেলা বিএনপির সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, “মসজিদের নামের জমি প্রাথমিকভাবে স্পষ্ট। উভয় পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম, কিন্তু নজরুল কোনো প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি। এ বিপুল জমি চাষাবাদ করা দরকার। প্রয়োজনে বর্গাচাষি দিয়ে চাষাবাদ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
কলাপাড়া থানার ওসি জুয়েল ইসলাম জানান, জমি সংক্রান্ত অভিযোগ পুলিশের এখতিয়ারভুক্ত নয়, এটি আদালতের বিষয়। তবে যদি কোনো ফৌজদারি অপরাধ ঘটে, সে ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।